যশোরঃ জেলার শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ দিয়ে পশুপালন চিকিৎসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী সুচিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে খামারি বা চাষিদের।
সম্প্রতি উপজেলার নাভারন প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গিয়ে সরেজমিনে মেয়াদোত্তীর্ন সরকারি ইনজেকশন ও পাউডার দেখা মিলেছে যা অসুস্থ গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীর রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসির পশুপালন চিকিৎসা সফলের পরিবর্তে আরো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
উপজেলার নাভারন প্রাণিসম্পদ দপ্তরের র্যাকে রক্ষিত অসুস্থ গরু, ছাগলের শরীরে পুশ করার জন্য চৎড়ীধপরহ ইনজেকশনের কাঁচের বোতলের গায়ে মেয়াদ উল্লেখ আছে ২০২১ সালের ২১ মার্চ। অথচ ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল দেখা গেল ওই চৎড়ীধপরহ ইনজেকশন অসুস্থ গরু, ছাগলের শরীরে পুশ করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের র্যাকে আরও কেমোনিড (ওরাল পাউডার) প্লাষ্টিক প্যাকেট রক্ষিত আছে যা অসুস্থ গরু, ছাগলের সুস্থতার জন্য ব্যবহার করা হয়। একই ভাবে তার গায়ে ব্যবহারের মেয়াদ উল্লেখ আছে ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।
এ ভাবে মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কারোর নজরে আসেনি এসব ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। তারপরও তারা জেনেশুনে এসব মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ ব্যবহার করছেন রোগাক্রান্ত পশুর শরীরে। তবে খামারি বা চাষিদের অভিযোগ সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দিয়ে এসব ওষুধ সবার চোখের আড়ালে ব্যবহার করা হচ্ছে। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জানার পর এখন নিজেদের মধ্যে চলছে সাবোটাজ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুমা আক্তার বলেন, কিভাবে আমার দপ্তরে মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ এলো আমি বুঝতে পারছিনা। আমার মনে হয় বাইরের কেউ শত্রুতা করে এখানে মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
আগামীনিউজ/নাহিদ