লক্ষীপুরঃ করোনা ও লকডাউনে থেমে নেই লক্ষীপুর ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) কার্যক্রম। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ এর মার্চ পর্যন্ত করোনাকালীন ২৮৮ জন নির্যাতিত নারী ও শিশুকে সেবা প্রদান করা হয়।
এর মধ্যে ১৬৭ জনকে মনো- সামাজিক কাউন্সিলিং প্রদান করা হয়। ৬৭ জনকে পারস্পরিক মধ্যস্ততা, ২৪ জনকে আইনী সহায়তা, ২৭ জনকে পুলিশি সহায়তা এবং ৩ জনকে প্রশিক্ষণে সম্পৃক্ত করা হয়।
বাঙ্গাখা ইউনিয়ন থেকে আগত একজন নারী বলেন, আমার স্বামী যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করলে নিরাপত্তার জন্য বাবার বাড়ি চলে যাই। এর ৩/৪ দিন পর বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম সে আমাকে তালাকনামা পাঠিয়েছে আমার স্বামী। তখন কি করবো বুঝতে পাচ্ছি না। লকডাউনের কারনে সব অফিস-আদালত বন্ধ। এলাকার একজনের সহযোগিতায় লক্ষীপুর সদর হাসপাতাল ওসিসিতে যাই। তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সদর থানার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন। আমার উদ্বিগ্নতা ও অস্থিরতা অনেক কমে যায়।
লক্ষীপুর সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি)র প্রোগ্রাম অফিসার মো: খালেদ মাহমুদ বলেন, করোনাকালীন লকডাউনে আমাদের প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশক্রমে দেশব্যাপী অন্যান্য ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি)র কর্মীদের মত আমাদের সেলও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরী সেবার আওতায় নির্যাতিত নারী ও শিশুকে সহযোগিতা করে থাকে ।
তিনি আরও বলেন লকডাউনে বেশিরভাগ নারী ও পুরুষ ঘরমুখো থাকায় পারিবারিক সহিংসতার ঘটনাগুলো বেশি ঘটে। আমরা নির্যাতিত নারী ও শিশুকে সরকারি ও বেসরকারি সেবায় সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করি।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সেবা প্রাপ্তির সুবিধার্থে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টি- সেক্টরাল প্রোগ্রামের আওতাধীন ৪৭ টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭ টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) স্থাপন করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/জনী