রাজশাহীঃ রাজশাহীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পাঁচ বছর শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়ের দাবী অস্বীকার করায় থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। শহিদুল ইসলাম (৩০) নামে ঐ যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে পাঁচ বছর ধরে। শারীরিক সর্ম্পক হয় একাধিকবার। তবে সেই কলেজছাত্রী বিয়ে করতে চাইলে শহিদুল বিয়েতে রাজি না হয়ে প্রেম বিচ্ছেদ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ফলে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বাঘা থানায় দায়েরকৃত একটি ধর্ষণ মামলার এজহারে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পাশাপশি অভিযোগ উঠেছে মারপিট করারও। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম উপজেলার ঝিনা দক্ষিনপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি একটি কোম্পানীতে কর্মরত।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রীর সঙ্গে শহিদুলের প্রেমের সর্ম্পক থেকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। তবে মেয়ে বিয়ের দাবি জানালে ছেলে অস্বীকৃতি জানিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং অন্যজনকে বিয়ে করে নেন শহিদুল। ফলে কলেজছাত্রী ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। কিন্তু শহিদুলের মা ও ভাবি তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে থানায় গিয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেন ওই কলেজছাত্রী।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর কলেজ ছাত্রীর শারিরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আগামীনিউজ/জনী