রাজশাহীঃ একটি নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে নগরীর ভদ্রা এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এটির সন্ধান মেলে। নির্জন পরিবেশে লোকচক্ষুর আড়ালে গড়ে ওঠে ওই কারখানা। এ সময় কারখানার মালিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর ছোট বনগ্রাম চন্দ্রিমা আবাসিক-১ এর আনসার আলীর ছেলে কারখানার মালিক আনিসুর রহমান ওরফে আনিস (৪২) ও নগরীর জামালপুর এলাকার আনসার আলীর ছেলে নকল ওষুধ তৈরির কারিগর রবিউল ইসলাম (৩২)।
পুলিশ জানায়, আনিস ভদ্রা এলাকার নিজের ওই বাড়িতেই এ কারখানা গড়ে তুলেছিলেন। অনেকটা নির্জন এলাকার ওই বাড়িটির একটি ঘরে মেশিন বসিয়ে ওষুধ তৈরি করতেন তিনি। নকল ওষুধ তৈরি করে বিভিন্ন ফার্মেসিতে অল্প দামে ওষুধ পৌঁছে দিতেন তার কর্মচারিরা। তবে শুক্রবার রাতে বাড়িটিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েন মালিক আনিস ও কারিগর রবিউল। এ সময় জব্দ করা হয় ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম ও বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ।
আরএমপির ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার রাকিবুল হাসান অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি সাংবাদকিদের বলেন, নকল ওষুধ আনিস রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন ফার্মেসীতে দিতেন। অধিক লাভের আশায় কিছু কিছু ফার্মেসী মালিক তা কিনতেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু আলম সিদ্দিক। এ সময় তিনি বলেন, এখান থেকে তৈরি করা নকল ওষুধগুলো ডিলারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হতো। শুক্রবার এ কারখানা থেকে স্কয়ার, এসবি ল্যাবরেটরিজ, নাভানা, রিলায়েন্স প্রায় ৭০ লাখ ৯৭ আর ৩০০ টাকার ওষুধ জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল, পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আগামীনিউজ/এএস