ফরিদপুর: জেলার নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নে বাবুর কাইচাইল গ্রামের জোড়া খুনের ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামী জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার সংশ্লিষ্টদের প্রাননাশের হুমকি সহ মামলা তুলে না নিলে এলাকাছাড়া করার ঘোষনা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসামীদের এমন হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে খুন হওয়া দুই পরিবারের সদস্যসহ মামলার সাক্ষিরা।
প্রাননাশের হুমকির কারনে বাড়ী থেকেও তারা বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। আসামীদের দলবেঁধে মহড়ার কারনে আতংকের মধ্যদিয়ে দিন কাটাচ্ছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এবং অভিযোগে জানা গেছে, কাইচাইল ইউনিয়নের হানিফ মিয়া হৃদয়ের সাথে বিরোধ ছিল একই এলাকার রওশন মিয়ার। বিরোধের সূত্র ধরে বিগত ২০১৮ সালের ১০ আগষ্ট বিকেলে মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এলোপাথারী গুলি চালিয়ে হত্যা করে রওশন আলী মিয়া ও মিরাজুল ইসলামকে। সেই ঘটনায় ২১ জনের নামউল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর আসামীরা এলাকা ছাড়ে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার সাথে জড়িত ৫ জন বাদে সবাইকে আটক করে। পরবর্তীতে মামলার আসামীদের মধ্যে ১২ জন জামিনে মুক্ত হয়। সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে মামলার প্রধান আসামী আওয়াল মোল্লা ও হানিফ মিয়া হৃদয় জামিনে বেরিয়ে আসে।
জামিনে বেরিয়ে আসার পর থেকেই তারা গ্রামে অস্ত্রের মহড়া দিতে থাকে। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের। মামলা তুলে না নিলে ভয়ানক পরিনতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দেয় আসামীরা। এ ঘটনার পর থেকে হামলার ভয়ে বাড়ী থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না খুন হওয়া দুই পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া মামলার সাক্ষিদেরও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় খুন হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা রওশন আলী মিয়ার ছেলে গোলাম রসুল বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, মামলার দুই অন্যতম আসামী জামিনে বেরিয়ে এসেই প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে বাবাকে যেভাবে খুন করেছে সেই পরিনতি আমাদেরও ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আসামীরা দিনের বেলায় এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। ফলে আমরা এখন চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আসামীরা ক্ষমতাসীন দলের বড় একনেতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে।
কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু বলেন, জোড়া খুনের সাথে জড়িত আসামীরা ভয়ংকর প্রকৃতির। তারা এহেন কোন কাজ নেই যা করতে পারেনা। মামলার দুই আসামী জামিনে বেড়িয়ে এসেই অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। যে কোন সময় তারা আরেকটি অঘটন ঘটাতে পারে বলে আশংকা করছি।
আগামীনিউজ/নাহিদ