রাঙামাটিঃ আনারসের রাজধানী ক্ষ্যাত নানিয়ারচর উপজেলায় মৌসুমি ফল আনারস চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফলের চাষও বেড়েছে বহুমাত্রায়। গাছে গাছে গুটি বেধেছে আম। কালবৈশাখী ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বাঁচলে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবারও বিদেশে আম রপ্তানি করার সম্ভাবনা দেখছে স্থানীয় আম চাষী মানিক খান।
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বগাছড়ি গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এলাকার চাষিরা আনারসের পাশাপাশি আম, কমলা, মাল্টা, লিচু, ড্রাগনসহ নানার সুস্বাদু ফল চাষে ঝুঁকছে। গেল বছর স্থানীয় আম চাষী মানিক খান ইতালি ও যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করছেন তার বাগানের আম। তবে গেল বছর করোনার প্রকোপে লোকসান গুনতে হয়েছে। লোকসান পুষিয়ে উঠতে তিনি বাগানে করছেন বাড়তি পরিচর্যা।
মানিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর দেশের বাইরে থেকে ২টি অর্ডার পেলেও করোনার প্রভাবে লোকসান গুনতে হয়েছে। বাগান লিজ নেওয়া, কীটনাশক স্প্রে, মোড়কজাতকরণ, পাহাড়ের উপরে ইলেক্ট্রিক মটর দিয়ে পানি দেওয়াসহ বাগান পরিচর্যায় মোটা অংকের কিছু টাকা খরচ করতে হয়েছে। এবারও দেশের বাইরে আম পাঠানোর ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই মৌসুমেই ইতালি ও যুক্তরাজ্যে আম রপ্তানিতে করবেন তিনি।
বাগান মালিক আরো জানান, হিম সাগর, হাড়ি ভাঙ্গা, ল্যাংড়া, গোবিন্দ ভোগ, রুপালী, মল্লিকা, আশ্বিনাসহ ১০জাতের আম রয়েছে তার বাগানে। কৃষিবিদ নুর ইসলাম থেকে প্রায় ১২একর জমিতে আম বাগান করছেন তিনি। বিশাল এই বাগানে রয়েছে ৪ হাজার বেশি আম গাছ।
এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ আলম প্রতিবেদক কে জানান, নানিয়ারচর উপজেলায় আমের ব্যাপক চাষ হলেও ইদানীং বাড়ছে বিভিন্ন আমের চাষ। উপজেলায় ৭২০ হেক্টর জুড়ে এবার আমের চাষ হয়েছে। পাহাড়ি জমিতে আনারসের পাশাপাশি আম চাষ বৃদ্ধি পেলে পাহাড় ধ্বস অনেকটা রোধ করবে।
কৃষি কর্মকর্তা আরো জানায়, বগাছড়ি, ইসলামপুর,বুড়িঘাট, সাবেক্ষ্যং ও নানিয়ারচর সদরের টিএন্ডটি বাজার এলাকায় বেড়েছে আমের চাষ। পাহাড়ে দেশি জাতের রেঙ্গুন জাতের আম বেশি হলেও ইদানীং ল্যাংড়া, হিমসাগর, হাড়ি ভাঙ্গার মত উন্নত জাতের আমেরও চাষ বাড়ছে। ফলে উপজেলায় আম চাষেরও ভাল সম্ভবনা দেখছেন এই কৃষিবিদ।
আগামীনিউজ/এএস