ব্রাহ্মণবাড়িয়া: গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অন্তত অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্থাপনা এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িসহ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড. লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান আরিফের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মো. আসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল খালেক বাবুল, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এড. কামরুজ্জামান অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. আরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মফিজুল হক ভূইয়া মামুন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভূইয়া শিপু, বিজয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুনির্মল সাহা, সরাইল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।
এতে বক্তারা বলেন- এই সহিংসতার দায় হেফাজতে ইসলামকে নিতে হবে ৷ হেফাজতের এই তাণ্ডব পরিকল্পিত ছিল। পরিকল্পনা করেই তারা সরকারি প্রতিষ্ঠান, পৌরসভা ভবন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, গত ২৬, ২৭, ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার এবং তান্ডবের পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৬ জন নিহত হয়েছে। জেলার পৃথক স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনির সাথে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত তিন শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের সহিংসতায় ৪৯ টি মামলা হয়েছে। ৩০০ জনের নামসহ ৪৫ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ১২০ জন আটক করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/নাহিদ