বরিশালঃ গত পাঁচদিন আগে যেখানে ছিলো কোলাহল মুখর সেই বরিশাল নদী বন্দরে এখন শোনা যাচ্ছেনা কোন নৌযানের সাইরেন।
যাত্রী নেই, নেই শ্রমিকদের কোন হাকডাক। লকডাইনে দক্ষিণাঞ্চলের ৩টি নদী বন্দরের শতাধীক লঞ্চঘাট সম্পুর্ন্য নিবর। অথচ পাঁচদিন আগেও এই ঘাটগুলো থেকে প্রতিদিন শত শত নৌযান ছেড়ে যেত। যাতায়াত করতো অন্তত ৪০ হাজার যাত্রী।
শেষ ট্রিপে গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে দেড়শতাধীক নৌযান। লক্ষাধীক যাত্রী নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে পৌছে বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী নদী বন্দর সহ বিভিন্ন ঘাটে নোঙরে রয়েছে। আরো প্রায় শতাধীক নৌযান বিভিন্ন বন্দর ও স্টেশনগুলোতে অলস বসে আছে।
অন্তত ৫ হাজার কর্মচারী এখন অবসরে দিন কাটাচ্ছে। বাধ্যতামূলক ছুটি হলেও মাসের শেষে বেতন মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের মধ্যে। তবে গত বছর লকডাউনের সময় প্রথম শ্রেণীর নৌযান কোম্পানীগুলো তাদের কর্মীদের বেতন প্রদান করেছিলো।
গতবছর রমজান ও ঈদ উল ফিতর সহ প্রায় আড়াই মাস নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নৌ পরিবহন খাতে স্মরনকালের ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। সে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার অগেই আরেকবার লকডাউন নৌ-অর্থনিতীকে আরো বির্পযয়ে ঠেলে দিয়েছে। তাই এবার কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
এ ব্যাপারে সুন্দরবন নেভিশেনের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, নৌপথে যাত্রী পরিবহন খাতে নতুন যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তা সামাল দেয়া বেশীরভাগ নৌযান ব্যবসায়ীর পক্ষেই সম্ভব হবে না। নৌযান কর্মীদের বেতন দেয়া হয়েছে গতবছর। কিন্তু সরকার এখাতে কেন প্রনোদনাও দেয়নি। সরকারের বিভিন্ন ধরনের কর ও ভ্যাট ছাড়াও ব্যাংকের সুদ সহ কিস্তি পরিষোধ করতে হচ্ছে আমাদের।
একই সুরে সংশয়ের কথা বলেন সালমা শিপিং লাইন্স-এর মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস। তার মতে, বেশীরভাগ নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা নিয়ে উদ্বেগ আর অনিশ্চতা রয়েছে।
আগামীনিউজ/জনী