রাজবাড়ীঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রোধে সরকারের দেয়া লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজবাড়ীর রাস্তা-ঘাটে মানুষের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
লকডাউনে যেসব দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা সেগুলোরও কিছু অংশ খোলা রয়েছে। এছাড়া জনগণের সামাজিক দূরত্বও যথাযথভাবে মানতে দেখা যাচ্ছে না।
রাজবাড়ীর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা যায় রিক্সা,অটোরিক্সা,মাহেন্দ্র, ভ্যান গাড়ি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী পরিবহণ করছে। বাস না চললেও সড়কে বালু ও মাটিবাহী ট্রাক দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। রাজবাড়ী বাজারে মানুষের আনাগোনাও ছিলো চোখে পড়ার মত।
তবে দেখা যায় শহরের চেয়ে গ্রাম অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা মানুষের মাঝে অনেক কম রয়েছে। সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বাগমারা হাটে গিয়ে দেখা যায় সেখানে গাদাগাদি করে মানুষ বাজারে নিত্যপণ্য ক্রয় করছে সেখানে কেউই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্যবিধি না মানার সর্ম্পকে মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা নানা ধরণের অজু হাত দেখাতে থাকে। তারা আরো বলেন, গতবার যখন লকডাউন দিয়েছিলো তখন মানুষের ভয় বেশি ছিল। তাই লকডাউন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাট জনমানবশূন্য হয়ে গিয়েছিল। এবার মানুষের করোনা সম্পর্কে ধারণা আছে, কিন্তু তারা আগের মতো ভয় পায় না। সরকার লকডাউন দিলেও মানুষ তাদের প্রয়োজনে ঠিকই বাইরে বের হচ্ছে।
অটোরিক্সা চালক রনি বলেন, লকডাউনে যদি বসে থাকি তাহলে কেমনে চলবে আমাদের সংসার? আমাদের পরিবারকে তো খাওয়াতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অটো চালাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যার আতিয়ার রহমান বলেন, শহরে স্বাস্থ্যবিধি একটু বেশি মানলেও গ্রাম অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম । তবে আমরা ইউনিয়ন থেকে ব্যাপক প্রচার চালাবো স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। যাতে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতন হয়।
রাজবাড়ী থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, আমরা মানুষকে সচেতন করতে মাঠে আছি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে জনগণ যদি সচেতন না হয় তাহলে তো তাদের মারধর করে স্বাস্থ্যবিধি শিখানো যাবে না। আমরা শহর ও গ্রাম অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি যদি মানুষ মেনে চলে সেই ব্যাপারে কাজ করে যাবো।
তিনি আরো বলেন, যে দোকানগুলো খোলা রাখার কথা সেগুলো খোলা আছে আর যেগুলো বন্ধ থাকার কথা সেগুলো বন্ধ আছে। অন্যান্য দিনের থেকে বর্তমানে লোকজনের সমাগম কম আছে বলে জানান।
আগামীনিউজ/এএস