ব্রাহ্মণবাড়িয়া: হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নেই বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে প্রতিনিধি দল নিয়ে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
এ আগুন সন্ত্রাসী ও বর্বরোচিত তাণ্ডবের ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন উল্লেখ করে হেফাজতের নায়েবে আমির শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি। কত দুঃখ পেয়েছি সেটি প্রকাশ করার ভাষা নেই। ভাঙচুরের জন্য আমাদের কর্মসূচিটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য দোষীদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিচারের দাবি জানাই। কিন্তু কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন হয়রানি না করা হয়, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানাই।
শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, হরতালের দিন আমাদের নেতৃবৃন্দের অবস্থান শুধু মাদরাসার সামনে ছিল। যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদেরকে বের করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ-ভাঙচুর করে, তারা কোনোদিন হেফাজতে হতে পারে না। আমরা সমস্ত ভাঙচুরের তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই। এর সাথে যারা হত্যকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং যারা উস্কানিদাতা তাদেরকেও চিহ্নিন করা দরকার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা বোরহার উদ্দিন কাসেমী, মুফতি নোমান হাবিবী, মুফতি এনামুল হাসান, মাওলানা মো. জাকারিয়া, মাওলানা তানভীর আহমেদ ও মুফতি এরশাদুল্লাহ কাসেমী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবেও ভাঙচুর এবং ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা চালায়। এ সহিংসতায় ৩ দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২ জন নিহত হয়েছিল এবং ৫০জন পুলিশসহ ৩০০ লোক আহত হয়েছিল।
আগামীনিউজ/মালেক