ফরিদপুর: জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় সোমবার সকালে দুই গ্রামবাসীর মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। অটো চালানো নিয়ে হামিরদী ইউনিয়নের বড় ও ছোট মুজকুরনী গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে দুই গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আট জন মাতুব্বরকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষের মামলা হয়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, রবিবার (২১ মার্চ) সকালে ছোট মুজকুরনী গ্রামের আটো চালক সুমন শেখ, বড় মুজকুরনী গ্রামের অটো চালক সুজন খালাষিকে সিরিয়াল ধরা নিয়ে মারধর করে। সেই জের ধরে ঐ দিনগত রাত থেকে উভয় গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ঢাল শরকি টেটা ও ইট পাটকেল নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে না পেরে ফরিদপুর থেকে দাঙ্গা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। এ সময় উভয় দলের নারী পুরুষ সহ অন্ততঃ ৩০ লোক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর প্রায় ১০ জনকে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে মাঠের বিভিন্ন প্রকার ফসলের (পিয়াজ,কালিজিরা,ধনিয়া) ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং কয়েকটি ঘরবাড়ীতেও ভাংচুর করা হয় বলে এলাকাবাসী জানান।
আহতরা হচ্ছেন- রাব্বুল শেখ,বাচ্চু মাতুব্বর,শাহিদা বেগম,মুকুল মাতুব্বর,বক্কার শেখ,জাহিদ,মিরাজ,আসালত,সাহেব,কবির,সাব্বির,মোকসেদ,মহব্বত,আমানত,মোশা,শাহজামাল,গিয়াস,সুমন, সুজনসহ আরো অনেকে।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ মন্ডল বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। ঐ গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্র সহ আট জন কে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।