রাজবাড়ী: গরমকালের শুরুতেই রাজবাড়ীতে ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার বংশবিস্তার। দিন রাতে সব সময় মশার উপদ্রবে নাজেহাল এলাকাবাসী। কিন্তু মশা নিধনে কোন কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজবাড়ীর পৌরশহরসহ বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, এ বছর রাজবাড়ীতে মশার উপদ্রব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। কয়েল, স্প্রে বা মশারি টাঙিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। কেউই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না।এছাড়া মশার উৎপাতে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতে চরম ব্যাঘাত ঘটছে।
এছাড়াও এই জেলাতে দেখা যাচ্ছে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা ও পুকুর ডোবা পরিষ্কার না করা সহ বিভিন্ন কারণে মশা জন্ম নিচ্ছে।
রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী পিংকি আক্তার বলেন , যেভাবে মশার উপদ্রব বাড়ছে এতে করে আমাদের পড়ালেখা করতে সমস্যা হচ্ছে। বাড়ীতে বই পড়তে বসলেই দিনে ও রাতে মশা কামড়াচ্ছে। মশা নির্মুলে কর্তৃপক্ষের জোরালো ভূমিকা রাখা দরকার বলে তিনি জানান ।
আনোয়ার হোসেন বলেন, সারাদিন মশার উপদ্রব কম থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই এই উৎপাত ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে সন্ধ্যায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে করার পরেও দেখা যায় মশা কামড়ায়। প্রচুর পরিমাণ মশা বাড়ছে আমাদের জেলাতে। যদি এখনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে দেখা যাবে মশার কারণে নানা রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
জেলা সিপিবির সভাপতি আব্দুস সামাদ মিয়া বলেন, রাজবাড়ীর পৌরসভার মধ্যে এখনো মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়নি। মশার উপদ্রব বাড়ছে প্রচুর। এদের কোন প্রস্তুতি নাই। আমার অনুরোধ থাকবে যেখানে মশা উপদ্রব বেশি রয়েছে সেখানে দ্রুত ওষুধ দিয়ে মশা নিধন করতে হবে।
সদ্য বিদায়ী রাজবাড়ী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন আগামীনিউজকে বলেন, আমরা পৌরসভার মধ্যে মশা নিধনের ওষুধ প্রতিনিয়ত দিয়েছি। বর্তমানে আমাদের অল্প কিছু ওষুধ আছে সেটা এখন দেওয়া হচ্ছে না। তবে নতুন মেয়র আসলে তিনি ওষুধ কিনে আনবেন। সেটা আবার পৌরবাসীর জন্য দেওয়া হবে। মশা নিধনে আমরা সর্বাত্মক ফলপ্রসূ উদ্যোগ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে গেছি।
আগামীনিউজ/মালেক