পটুয়াখালীঃ প্রথমে মোবাইলে প্রেম পরে কুয়াকাটায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে এসে সিলভার ক্রাইন নামের একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে প্রেমিকাকে পালাক্রমে গনধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মহিপুর থানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রাতেই পুলিশ মামলার প্রধান আসামী প্রেমিক রনি প্যাদা (২৪), সহযোগী মাইনুল (২০) ও হোটেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। পরে আজ দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে দশমিনা উপজেলার রনি প্যাদার সাথে তালতলী উপজেলার শারীকখালি গ্রামের ওই যুবতীর সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে রনি প্যাদা ১০ জানুয়ারী ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে নিয়ে আসে। এরপর স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে আবাসিক হোটেল সিলভার ক্রাউনের ২০৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন।
এরপর হোটেলে যুবতীকে আটকে রেখে প্রথমে রনি প্যাদা ধর্ষন করে। পর্যায়ক্রমে তার সাথে দশমিনা থেকে আসা মাইনুল ইসলাম তাকে গনধর্ষণ করে। এতে সহযোগিতা করে ওই হোটেলের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম। পরে গতকাল ওই যুবতী কোন রকম ছাড়া পেয়ে তার পরিবারের সহায়তায় মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আগামীনিউজ/এএস