ঢাকাঃ নওগাঁর রাণীনগরে অভিনব কায়দায় বিদ্যুতের মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সুবিধাভোগীরা। মিটার চুরি করে সেখানে চিরকুটে লিখে রেখে যাওয়া হচ্ছে বিকাশ নম্বর। সেই নম্বরে টাকা পাঠানোর পর মিটার ফেরত দিচ্ছে চোরেরা।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫টি বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়েছে। আর প্রতিটি মিটার চুরির পর ঘটনাস্থলে বিকাশ নম্বর লেখা কাগজের একটি চিরকুট রাখা হয়। পরে ওই নম্বরে যোগাযোগ করে চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ৩ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিটার ফেরত দেয়। চুরি যাওয়া প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা। বিশেষ করে ৩ ফেজের শিল্প/সেচের মিটারগুলো বেশি চুরি হচ্ছে। এতে করে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন যে কার মিটার চুরি হয়, এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রাহকরা।
ভবাণীপুরের গ্রাহক ভুক্তভোগী শাফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মিটার কিছু দিন আগে চুরি হয়ে গেছে। মিটার যদি প্রায়ই চুরি হয়, তাহলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’ এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) সাইদী সবুজ খাঁন বলেন, ‘একই রাতে ৪টি মিটার চুরির পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের কোনও জোরালো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চিরকুটে লেখা বিকাশ নম্বর ট্র্যাকিং করে পুলিশ ওই সিন্ডিকেটের চোরদের খুঁজে বের করতে পারে।’
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে গ্রাহকদের সচেতনত করার উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু গ্রাহক নয়, সবাইকে সচেতন হতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত চোরদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার।’
আগামীনিউজ/প্রভাত