গোপালগঞ্জঃ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে সাহানা বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ সময় তার ছেলে মিঠুন শেখও (৩০) গুরুতর আহত হন।
আজ সোমবার (১৯অক্টোম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার চরপ্রসন্নদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী সামচু শেখ (৬০) পলাতক রয়েছেন।
নিহত সাহানা বেগমের বাড়ি একই উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের তাঁতীহাটি গ্রামে। তবে তারা চরপ্রসন্নদী গ্রামে মজিবরের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামচু শেখ তার পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরপ্রসন্নদী গ্রামের এফসি স্কুলসংলগ্ন মজিবরের বাসায় ভাড়া থাকত।
আজ সোমবার (১৯ অক্টোম্বর) সকাল ৭টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে মিঠুন শেখ ও মা সাহানা বেগমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় সামচু শেখ তার স্ত্রী ও ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ত্রী সাহানা বেগমকে মৃত ঘোষণা করে। ছেলে মিঠুন শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সামচু শেখের মেয়ে রুবিয়া আক্তার (১৯) জানান, প্রায় দিন আমার বাবা, মা ও ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। ঘটনার দিন সকালে আমি কাজের জন্য বাহিরে যাই। পরে ফিরে এসে দেখি আমার বাবা সামচু শেখ আমার মা ও ভাইকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে গেছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি খোন্দকার আমিনুর রহমান জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আগামীনিউজ/জেহিন