পঞ্চগড়ঃ জেলায় এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে ধর্ষককে অভিযুক্ত করে পঞ্চগড় আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার।মামলার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক পলাতক।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী পঞ্চগড়ের জগদল ডিগ্রি কলেজের অধ্যায়নরত। অভিযুক্ত ধর্ষক আবু সালেক (২১) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মান্দুলপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে আবু সালেক প্রেমের সম্পর্ক করেন। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন আবু সালেক। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওই ছাত্রী বিষয়টি আবু সালেককে জানান। তাকে বিয়ে করে বাড়িতে নেওয়ার কথা বললে তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন। এভাবে ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন আবু সালেক তাকে তার বাড়িতে যেতে বলেন। আবু সালেকের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বাংলানিউজকে জানান, আবু সালেক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। আমার গর্ভে তার সন্তান। আমি ন্যায় বিচার পেতে পরিবারের সহযোগিতায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমাদ হোসেন মো. ফারুক ফিরোজ বাংলানিউজকে জানান, ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা এটা আমরা আল্ট্রাসোনোগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।
আগামীনিউজ/জেহিন