করোনাভাইরাস সংক্রমণের অতি ঝুঁকিতে থাকায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত মাদারীপুরসহ দেশের ১০ জেলায় সাধারন ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার রেড জোন এলাকা ব্যাতিত জেলার অন্যসকল রেডজোন এলাকাগুলোতে তেমনভাবে লকডাউন কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে। মাদারীপুর সদর, কালকিনি, রাজৈরের রেড জোন এলাকায় কোথাও পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ে নাই।
এ ছুটির আওতায় রয়েছে রেড জোনের আওতাভুক্ত হচ্ছে মাদারীপুর পৌরসভার ১ থেকে ৭নং ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ছিলারচর, ঝাউদি, খোয়াজপুর, ধুইরাইল, মস্তফাপুর নিয়ে মোট ৫টি ইউনিয়ন। শিবচরে রেড জোন চিহিৃত পৌরসভার ৩ টি ওয়ার্ড ও ৮ টি ইউনিয়ন। অপরদিকে কালকিনি পৌরসভার ১, ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড এবং ডাসার, গোপালপুর, আলীনগর এবং শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন। রাজৈর পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ড এবং উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন লকডাউনের আওতায় রয়েছে।
শিবচরের রেড জোনগুলো হলো পৌরসভার ১, ৪, ৫ নং ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নগুলো হচ্ছে শিবচর, দ্বিতীয়খন্ড, বহেরাতলা দক্ষিন, বাশকান্দি, ভদ্রাসন, কাদিরপুর, মাদবরচর ও পাচ্চর। এ উপজেলার ইয়েলো জোন হলো বহেরাতলা উত্তর,উমেদপুর,চরজানাজাত ও কুতুবপুরসহ ৪ ইউনিয়ন। গ্রীন জোনের তালিকায় রয়েছে পৌরসভার ২,৩,৬,৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড ও দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী, সন্ন্যাসীরচর, বন্দরখোলা, কাঠালবাড়ি, ভান্ডারীকান্দিসহ ৭টি ইউনিয়ন।
মাদারীপুরের স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, সরকার রেড জোন বিবেচনায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু মাদারীপুরের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে অবাধে লোকজন চলাচল করছে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, রেড জোন ঘোষিত এলাকায় বসবাসরত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে। এই ছুটির মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত। সাধারণ ছুটি চলাকালে এসব এলাকার লোকজনের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এছাড়া জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির বাইরে থাকবে। আদেশ অনুযায়ী এসব এলাকায় ২১ জুন থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাধারণ ছুটি থাকবে।
আগামীনিউজ/মাসুদ/জেএস