বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার (১৯ জুন) বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুধুমাত্র আমদানি বাণিজ্য সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল দু‘দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এদিন শুধুমাত্র ভারত থেকে পণ্য আমদানি হবে বেনাপোল বন্দরে। কোন পণ্য রপ্তানি হবে না। কাস্টমস, পোর্ট ও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। শনিবার (২০ জুন) কাজ হবে সকল দপ্তরে।
বৈঠকে সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় তিন মাস বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এর আগে বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সাময়িক ভাবে ভারত থেকে আমদানিকৃত মালামাল শুক্রবারে গ্রহণ করার জন্য চেকপোস্টে কর্মরত কর্মচারিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, উভয় পক্ষের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে শুক্রবারও এ পথে আমদানি কার্যক্রম চলবে। তবে গত ৭ জুন থেকে ভারত থেকে এ পথে কয়েকশ ট্রাক পণ্য আমদানি হলেও বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির একটি ট্রাকও গ্রহণ করেনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। রপ্তানি পণ্য নিয়ে শত শত বাংলাদেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে বেনাপোল বন্দরে। সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না।
জানা যায়, যোগোযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশে স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা এবং রপ্তানি বাণিজ্য থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়।
আগামীনিউজ/ মনির/জেএফএস