সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকসহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৌসুমী আক্তার (২৩) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই প্রসূতি কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাতবাড়িয়া গ্রামের ব্যবসায়ী শাহ আলমের পুত্রবধূ মো. শরিফুল আলম শাকিলের স্ত্রী।রবিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। লাকসামে করোনায় এই নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হলো। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬ জন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমী আক্তার প্রায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এমতবস্থায় তিনি গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ছাড়া তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ১১ জুন পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যান এবং রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য দেয়া হলে ১৩ জুন তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি একটি মৃত পুত্র সন্তান প্রসব করেন। এ সময় তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। একপর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তিনি মারা যান। শাকিল-মৌসুমী দম্পত্তির আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। এদিকে রাতেই ওই প্রসূতির মরদেহ ঢাকা থেকে স্বামীর বাড়ি লাকসাম পৌর শহরের সাতবাড়িয়া গ্রামে নিয়ে আসা হয়।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পুলিশ প্রশাসন তাৎক্ষণিক ওই বাড়িতে ছুটে যান। তাঁদের উপস্থিতিতে সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আজ সোমবার ভোরে ওই নারীর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হবে।
এই ব্যাপারে লাকসাম শৌরসভার মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের ওই বাড়িটি লকডাউন (অবরুদ্ধ) করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তিনি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পৌর নাগরিকদের প্রতি আহবান জানান।
আগামীনিউজ/জেএস