যশোরের বেনাপোল বাজারে প্রায়ই প্রতিনিয়ত মরা-রুগ্ন ও পঁচাবাসি গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। দূর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও সঠিক তদারকির অভাবে কসাই মিজানুর রহমান ও বাক্কা এধরনের অপকর্মে লিপ্ত বলে জানা গেছে। এরা বেনাপোল পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এর চোখ ফাঁকি দিয়ে ও তার কথা অমান্য করে নিজেদের ইচ্ছা মত কসাইখানা থেকে গরু জবাই করে বেনাপোল বাজারে বিক্রি করে। আর এসব পঁচা-বাসি ও রুগ্ন গরুর মাংস খেয়ে অনেকেই পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার সকালে বেনাপোল বাজারে রুগ্ন গরুর নষ্ট মাংস বিক্রি করার সময় ধরা পড়ে মিজান কসাই। একই সময়ে তিন দিন আগের ফ্রিজ করে রাখা খাওয়ার অনুপযুক্ত মাংস বিক্রি করে বাক্কা নামে এক কসাই।
দিঘির পাড় গ্রামের সাহেব আলী নামে একজন ভোক্তা জানান, আমি মিজান এর কাছ থেকে মাংস কিনে খেতে পারিনি। ওই মাংস রান্না করার সময় দুর্গন্ধ বের হয়। আমি মিজানকে কয়েকবার বাজারে খুজতে আসলেও তাকে পায়নি।
বেনাপোল পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর রাশিদা খাতুন বলেন, কসাইরা কোন কথা শুনতে চায় না। তারা আমাদের কথা অমান্য করে গরু জবাই করে। রাত তিনটার সময় মাঝে মধ্যে এ ধরনের কাজ করে থাকে। পৌর সভার নির্ধারিত মোল্যা ইসমাইল ব্যাতিত তিনটি গরু রাত তিনটার সময় জবাই করে কসাই মিজান। আমি সকালে এসে গোশ মার্কেটে ঘুরে চলে যাই। তিনি আরো বলেন, এ মাংস এখন আর বাজারে বিক্রি করতে পারবে না। কারন মাংস জবাই থেকে ছয় ঘন্টার মধ্যে বিক্রি করার কথা। আর এ মাংসর সময় পার হয়ে গেছে।
পৌর সভার নির্ধারিত মোল্যা ইসমাইল বলেন, আমি কসাইখানায় যাওয়ার আগে তিনটি গরু জবাই করে ফেলে তারা। তবে ওই গরুর অবস্থা কি ছিল তা আমি জানি না। সেটা মৃত্যু না জীবিত না রুগ্ন তা বলতে পারব না।
খবর পেয়ে বেনাপোল বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান ও বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বাজার কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান ঘটনাস্থলে যেয়ে মাংস দেখে শুনে স্যানেটারী ইন্সপেক্টরকে নিয়ে মাটিতে প্রায় এক মন মাংস মাটি চাপা দিয়ে নস্ট করে দেয়। এসময় বেনাপোল পোর্ট থানা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মিজান কসাইয়ের মাংস নিয়ে মাটিতে চাপা দেওয়ার পর সেখান থেকে পুলিশসহ বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ চলে যাওয়ার পর বাক্কা নামে আর এক কসাই তিন দিন আগেকার খাওয়ার অনুপযুক্ত মাংস বেলা ১ টার সময় বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রশাসনকে খবর দিতে গেলে মাংস নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় বাক্কা ও তার কর্মচারীরা।
আগামী নিউজ/ মনির/ তামিম