নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিজের মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে মারধর ও সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন মোবারক উল্যা নামে এক পিতা।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে এ সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত মো. জাহাঙ্গীর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
কুয়েত প্রবাসী জসিম উদ্দিন তার ভাই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তার পিতার কাছ থেকে কেনা ৫৪ শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন তিনি ও তার পরিবার। কিন্তু ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সাংবাদিক খুরশীদ আলমের প্ররোচণায় বিভিন্নভাবে আমার বাবা-মা, আমি ও আমার পরিবারকে নাজেহাল করছে। আমার ক্রয়কৃত জমি ও বাড়ি জবর দখল করে রেখেছে। এ বিষয়ে আমার বাবা মোবারক উল্লা সোনাইমুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। বর্তমানে আমি তাদের অত্যাচারে নিরূপায় হয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় বেগমগঞ্জের করিমপুরে ভাড়া বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি কুয়েতে থাকা অবস্থায় ২১ এপ্রিল-২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছিলাম। কথিত সাংবাদিক খুরশিদ আলম আমার সহদর জাহাঙ্গীরকে নিয়ে এলাকায় মদ ও ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ি থানা ও মতিঝিল থানায় বিভিন্ন অপকর্মের একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রবাসী জসীম উদ্দিনের বাবা মোবারক উল্লা সাংবাদ সম্মেলনে জানান, ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরকে আমেরিকা যাবার জন্য ৪৮ শতাংশ জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলেন কিন্তু সে টাকা নিয়ে জাহাঙ্গীর বিদেশে যায়নি। এরপর তাকে আরও ১১ শতাংশ জমি বাড়ি করার জন্য দিয়েছি। এরপরও সে বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার করছে। এখন বড় ছেলের কাছে বিক্রি করা সম্পদও কথিত সাংবাদিক খুরশিদ আলমের মদদে জবর দখল করে রেখেছে। এ সকল বিষয়ে থানা পুলিশও তাদের কিছু করছে না। উপরন্তু খুরশিদ ও জাহাঙ্গীরের প্ররোচনায় উল্টো আমার বাড়ির আঙ্গিনায় ইয়াবা দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় সংসদ সদসস্যের সহযোগিতায় আমি পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পাই।
এ সময় প্রবাসী জসিম উদ্দিন ভূয়া সাংবাদিক খুরশিদ আলম ও তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার চান।
আগামীনিউজ/রিয়াদ/তামিম