ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মুনির হোসের লোকমানের কাছে স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় গোপন ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে অভিযুক্ত মনির সালমা বেগম নামে এক নারীর সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুই বছর যাবত সংসার করে আসছিল। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সালমা।
এরই মধ্যে স্ত্রীর অধিকার চেয়ে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মনিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সালমা।
মনির চরফ্যাশন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের জালাল মাস্টারের ছেলে।
ভুক্তভোগী সালমা চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কাশেমগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা বেগম বলেন, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের জন্য চরফ্যাশন নির্বাচন অফিসে যাই। সেখানে অফিস সহকারী মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয়। এনআইডি দ্রুত সংশোধন করে দেবে বলে আমার কাছ থেকে কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর নিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে মনির।
পরের দিন মনির মোবাইলে কল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে শুরু করে। একপর্যায়ে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এরপর তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর মনির আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিয়ের কথা বলে আমাকে ঢাকার শ্যামলীতে তার বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে কাজি ডেকে আমাদের বিয়ে পড়ানো হয়।
ওই সময় কাবিননামার কথা বললে এনআইডি সংশোধন করে তারপর কাবিন করবে বলে জানায় মনির। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর হিসেবে সংসার করতে থাকি। শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইলে সময় হলে নিয়ে যাবে বলে জানায়। এরই মধ্যে নিজেদের মেলামেশার কিছু অশ্লীল ভিডিও ও ছবি নিজের কাছে রেখে দেয় মনির।
কিছুদিন পর তার কাছে কাবিননামা চাইলে ক্ষিপ্ত হয়। সেই সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর করে, ওই দিন কোনো বিয়ে হয়নি বলে আমাকে জানায় মনির। বিষয়টি কাউকে জানালে আমাদের মেলামেশার অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তবে আমাদের বিয়ের বিষয়টি মনিরের চাচা হারুন ও আলম জানতেন।
সালমা বেগম বলেন, স্ত্রীর অধিকার চেয়ে মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সে বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইন্টারনেটে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ছেড়ে দেব। বাধ্য হয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোলার জজ আদালতে মামলা করি আমি।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে মনির বলেন, সালমা বেগমের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় আমার। তবে আমি সালমাকে বিয়ে করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন সালমা। তার অশ্লীল ভিডিও ও ছবি আমার কাছে নেই।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আমি। তদন্ত করে এ বিষয়ে লোকমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামীনিউজ/মাসুম