পাবনাঃ একের পর এক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে নাকাল সাধারণ মানুষ। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন নি¤œআয়ের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে পাবনায় সাড়া ফেলেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে সবজির বাজার।
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্টের কথা ভেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। শহরের ঘোড়া স্ট্যান্ড এলাকায় বসেছে ন্যায্যমূল্যের এই সবজির বাজার।
শনিবার বেলা তিনটার দিকে ওই সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি কিনতে ক্রেতাদের বেশ ভীড়। নিজেদের প্রয়োজনীয় সবজি কিনছেন তারা। তাদের চোখে মুখে স্বস্তির চিহ্ন। বাজারে বিক্রির কাজে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মীরা।
ন্যায্যমূল্যে সবজির বাজারে দায়িত্বরত দেওয়ান মাহবুব জানান, ন্যায্যমূল্যের বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ১৫ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, ফুল কপি ৩০ টাকা, মুলা ৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া এক ফালি ২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ২০ টাকা, সবুজ শাক দুই আটি ১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা বর্তমান বাজারদর থেকে দাম অনেক কম।
তিনি বলেন, গত ০৪ ডিসেম্বর এই ন্যায্যমুল্যের সবজির বাজার চালু করা হয়েছে। সপ্তাহের সাতদিন সকাল দশটা থেকে সবজি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকালে কৃষকের জমি থেকে সরাসরি সবজি কিনে এনে বিক্রি করা হচ্ছে।
সবজি কিনছিলেন মতিউর রহমান নামের এক রিকশাচালক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে গেলি যেরম দাম বাড়িছে, তা আর কি কবো। অর্ধেক বাজার কইরে লিয়ে বাড়িত যাওয়া লাগে। এহেনে দেখতিছি বাজারের চাইতে দাম মেলা কম। আজকে বেশি করে কিনবের পারলেম।’
সবজি কিনতে আসা নাজমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘বাজারে গেলি দেহা যায় এক কেজি বেগুন লেয় ৪০ টেকা। এহেনে পাইলেম ১৫ টেকায়। এক আঁটি শাক লেয় ২০ টেকা। এহেনে লিলেম দুই আঁটি ১৫ টেকায়। কত উপকার হলো। এই উদ্যেগটা খুব ভাল। গরীব মাইনসের খুউব উপকার হচ্ছে।’
ন্যায্যমূল্যে সবজির বাজারের উদ্যোক্তা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে সবজির বাজার নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরাসরি কৃষকের ক্ষেত থেকে সবজি কিনে এনে বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছি, এতে করে ভালো সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এরপর আমরা পেঁয়াজ, তেল, চাল, ডাল, মাংসসহ সহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করবো। বাজার নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।’
শাহীন রহমান/এসআইসি