যশোরঃ বেনাপোলে পিঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে গত একদিনের ব্যবধানে বাজারে দাম কমে অর্ধেকে।১২০টাকা দেশী পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০টাকায়। দাম আরো কমার আসা বিক্রেতাদের । দেশি পেঁয়াজ বাজারে আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।
গত ৭ ডিসেম্বর ভারতীয় পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার, পরই শুক্রবার থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম যায় বেড়ে । ৮০ টাকা থেকে বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ২৪০টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৩০ টাকা। এ সময়ে বেশি লাভের আশায় চাষীরা আগাম দেশি পেঁয়াজ বাজারে মজুত শুরু করেছে। ফলে দাম কমেছে।
অন্যদিকে ভারত থেকে টিসিবি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করেছে। এ ধরনের খবরে বাজারে দাম কমে যাওয়ার আশংকায় ভারতীয পেঁয়াজের দাম কমিযে দিয়েছে ব্যাবসায়িরা। মজুত করা পেঁয়াজ ছাড়ছেন বাজারে। অপর দিকে দেশের বাজারে পেঁয়াজ শহনশীল রাখতে, ভারত থেকে ৫২হাজার মেঃ টন পেঁয়াজ আমদানি করছে বানিজ্য মন্ত্রনালয়।
এ ধরনের খবর ব্যাবসায়িদের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। তবে খুচরা ব্যাবসায়িরা এখনও বেশি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানান ক্রেতা মোহির কান্তি ও আসুরা বেগম। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং না থাকায় প্রতারিত হচ্ছে তারা।
তবে পেঁয়াজ ব্যাবসায়ি কাশেম আলী ও মামুন হোসেন বলেন মোকামে পেঁয়াজ দাম কমিয়ে দিয়েছে। বাজারে ছাড়ছেন দেশি বিদেশি পেঁয়াজ এজন্য কমছে দাম। এক সপ্তাহের মধ্যে দাম একশ টাকার নিচে নামবে বলে জানান তারা।দেশি পেঁয়াজ ১১০টাকা থেকে১৩০টাকা ও ১৪০থেকে১৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ
উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার মন্ডল জানান এবার পেঁয়াজ চাষ বেড়েছে। কৃষকেরা দাম ও পাচ্ছে ভাল।তবে বাজারে দেশি পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দাম সহনশীলত পর্যায়ে আসবে বলে জানান তিনি।
মনির হোসেন/এমআইসি