টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলে শহর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত রাতে মামলা হওয়ার পর সৌরভ পাল নামে এক আসামিকে শহরের থানাপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
সৌরভ পাল শহরের থানা পাড়া এলাকার শ্যামল পালের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান,ভোর রাতে শহরের থানাপাড়া এলাকা থেকে সৌরভকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল রাতে এশার বড় বোন লুনা মির্জা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণা দাবী করে এশার বড় ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পালকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। আজ সৌরভ পালকে আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য ; গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করের বেতকা নিজ বাসার ৩য় তলা থেকে এশা মির্জার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এশা বাদি হয়ে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ওই কিশোরী।
মামলা দায়েরের পর গোলাম কিবরিয়া উচ্চ আদালত থেকে অন্তরবর্তিকালিন জামিন লাভ করেন। পরে নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন টাঙ্গাইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এশা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে আদালতের নির্দেশে এশার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির পিতা গোলাম কিবরিয়া নন। পরে আদালত গত ৯ অক্টোবর গোলাম কিবরিয়াকে ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। পরে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ধর্ষনের এই মামলাটি টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিপিআই) তদন্ত করছে।
শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/এমআইসি