ফরিদপুরঃ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে চাষিরা। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত সবজি মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষিরা মরিচ ক্ষেতের মধ্যেই সাথী ফসল হিসাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপণ করেন। কুমড়ার বীজ লাগাতে কোন প্রকার চাষাবাদ করতে হয় না। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই বেড়ে উঠে মিষ্টি কুমড়া। ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে পারেন।
শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা, আর কুমড়া বিক্রয় হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত। গতবারের তুলনায় ফলন এ বছর কম।
মধুখালী বাজারে আসা বাগাট ইউনিয়নের চর বাগাটের গ্রামের চাষী মোঃ আবুল হোসেন জানায়, ২০ শতাংশ জমিতে মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। ফলন কম হয়েছে। প্রতিপিস কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রয় হবে। তবে দাম তুলনামূলক কম বলে দাবি করছেন তারা।
মধুখালী বাজারের কুমড়া আরৎের ব্যবসায়ী মোঃ আলম শেখ জানান এ বছর ফলন কম হওয়ায় কুমড়ার আমদানি কিছুটা কম। আমরা প্রতিকেজি কাচাঁ কুমড়া ১০ থেকে ১২ টাকা এবং পাকা কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় ক্রয় করছি। এছারাও কুমড়া ভেদে প্রতিটি চুকতা বা লট ১২শো থেকে ১৫শো পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে।
আরেক ব্যবসায়ী মোঃ লিটন শেখ জানায়, আমাদের এলাকার মিস্টি কুমড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখান থেকে মিস্টি কুমড়া মাগুরা, মানিকগঞ্জ, যশোর, খুলনা, নিমশা,ঢাকা,সাতক্ষীরা,গোপালগঞ্জ সহ কয়েকটি জেলায় চলে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আলভীর রহমান বলেন, নিরাপদ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে কুমড়ো চাষে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। গত বছরে ২ হাজার ৪শত ৩০ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত খরার কারনে কুমড়ার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
সালেহীন সোয়াদ/এমআইসি