নোয়াখালীঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাইকেল বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে মারুফ হাসান রাকিব (১২) নামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার সহপাঠী একই শ্রেণির ছাত্র আতিকুর রহমান রাকিব (১৩) এর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চরক্লার্ক মসজিদ মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করে চরজব্বার থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে স্থানীয়রা।
এর আগে গতকাল সোমবার সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হালিম মাস্টারের বাড়ির সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার প্রথম ধাপে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।অস্ত্রোপচার শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
আহত মারুফ চরক্লার্ক গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. রফিক উল্যাহর ছেলে। অভিযুক্ত আতিকুর রহমান একই গ্রামের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মো. শাহ আলমের ছেলে। তারা দুজন বন্ধু এবং স্থানীয় বাংলাবাজার দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
মাদরাসার সুপারিন্টেনডেন্ট শেখ ফরিদ ছুরিকাহত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আহত মারুফ হাসান রাকিবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেলা সদরে পাঠানো হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
আহত মারুফের চাচা মো. আহসান উল্যাহ বলেন, মারুফের থেকে আট হাজার টাকায় একটি সাইকেল কিনে নেয় তাঁর বন্ধু আতিকুর। কিন্তু দীর্ঘদিনেও টাকা না দেওয়ায় মারুফ তাকে টাকার জন্য চাপ দেয়। সোমবার বিকেলে মারুফকে টাকা দেওয়ার কথা বলে হালিম মাস্টারের বাড়ি পাশে সড়কের নির্জন স্থানে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করে আতিকুর। এতে তার থুতনি, বুকে ও পেটে মারাত্মক জখম হয়।
স্থানীয় চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল বাসার বলেন, মারুফের পেট কেটে ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচার করেন । এখন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আতিকুর রহমান রাকিব থানা নিয়ে আসা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেব।