ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকারের (ধর্ষণের) অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
(২৫ আগস্ট) সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘটনার পর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক রজব আলী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার লক্ষণপুর চরল পাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
তিনি রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের উত্তর মহেশপুর হামিউ সুন্নাহ নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষককে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর বয়সী মাদ্রাসার ছাত্র ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। ওই মাদ্রাসায় হাফেজিয়া শাখায় শিক্ষকতা করতেন রজব আলী। গত শুক্রবার সকালে ওই শিক্ষক তাকে আবাসিক ভবনে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার (ধর্ষণ) করে। এ সময় ওই ছাত্রের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে তিনি পালিয়ে যান।
পরে সেই মাদ্রাসা শিক্ষককে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায়
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার লক্ষণপুর চরল পাড়া নিজ গ্রাম থেকে
আটক করে নিয়ে আসে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেয়েন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস মো: আসাদুজ্জামান শিক্ষক রজব আলী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি।
প্রেস ব্রিফিং এ রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল, বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন,রানীশংকৈল থানা তদন্ত কর্মকর্তা মহসিন আলী উপস্থিত ছিলেন
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। শিশুটিকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।
করেছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
আনোয়ার হোসেন আকাশ/এমআইসি