ফরিদপুরঃ ফরিদপুরে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজিৎ সাহা (৫৫) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিশ্বজিৎ সাহা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামের সঞ্জয় সাহার ছেলে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন করে ১১৩ জন আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট ২ হাজার ৯১৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৬০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৪২ জন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আশংকাজনক অবস্থায় বিশ্বজিৎ সাহাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর সাত ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা তিনি যান।
বিশ্বজিৎ সাহা ছাড়া আগস্টের প্রথম ১৫ দিনে ফরিদপুরে আরও যে সাতজন মারা গেছেন তারা হলেন- রাজবাড়ী সদরের বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মিজানের ছেলে জয়নাল আরোফিন, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বনমালিদিয়া মহল্লার বাসিন্দা আবুল হোসেনের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৫৫), সালথার যদুনন্দীপুর গ্রামের মো. ফরহাদের স্ত্রী ময়না বেগম (৪০), মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুরের শহীদুল্লাহ মিয়ার ছেলে মাহাবুব ভূঁইয়া (৩৫), ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের কেশবনগর গ্রামের সুকুমার কীর্তনীয়া (৭৭), রাজবাড়ীর গোলালন্দ উপজেলার সালমা বেগম (৪২) ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরর্দি গ্রামের আবেদ আলীর স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫)।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের আরও সজাগ ও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা সচেতন না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এমআইসি