গাজীপুরঃ টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামক ট্রেনে ছিনতাই ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঢিল ছুড়ে যাত্রীদের আতঙ্ক সৃষ্টি করে মোবাইল, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলে ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। ট্রেনের মেঝেত শুয়ে চিৎকার করতে থাকেন যাত্রীরা। এ সময় ছিনতাকারীর ছুরির আঘাতে ট্রেনের টিটিসহ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টায় টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগনালে (আকিজ বেকার্সের পেছনে) এ ঘটনা ঘটে।
যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটি টঙ্গীর আউটার সিগন্যালে প্রায় ২০ মিনিট থামিয়ে রাখা হয়। এই সুযোগে হঠাৎ ট্রেনটি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে ৩০ থেকে ৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত। এসময় আতঙ্কিত হয়ে যাত্রীরা ছোটাছুটি শুরু করতে থাকেন। কেউ কেউ ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে পড়েন। এসময় ট্রেনের এক টিটিকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়।এতে অন্তত ১৩ জন আহত হন।
ট্রেনের টিটি বলেন, আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ করে পাথর ছুড়াছুড়ি দেখে দরজার লাগিয়ে দিয়েছিলাম। পরে জানালার পাশ দিয়ে ছুরি দিয়ে আমাকে আঘাত করা হলে আমার হাতে ক্ষত হয়।
ট্রেনের অপর এক যাত্রী বলেন, ট্রেনটি আউটার সিগনালে দাঁড়িয়ে গেলে এক যাত্রী প্রাকৃতিক কাজ সারতে নিচে নামেন। তিনি যখন প্রাকৃতিক কাজ সারছিলেন তখন জঙ্গল থেকে তিনজন ছেলে ছুরি দেখিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা ইট পাথর মারতে থাকে। এসময় অনেকেই আহত হয়।
টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের দায়িত্বে থাকা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আউটার সিগনালে ট্রেনটি দাঁড়ানোর কিছু সময় পর জানতে পারি কয়েকটি বগিতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিছু বগিতে ঢুকতে না পেরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছে। আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ট্রেনটি স্টেশনে নিয়ে আসি। তারা দশ মিনিট সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টঙ্গী স্টেশন এলাকাটি দুর্বৃত্তদের দখলে। যে কোনো সময়ই দুর্বৃত্তদের কবলে পড়তে হয় যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এছাড়া ঘটনার পর রাত ২টার দিকে রেল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
টঙ্গী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ ছোটন শর্মা জানান, ৯৯৯ এ একজন যাত্রীর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আহতের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
বুইউ