সিলেটঃ সিলেট-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সালুটিকরে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জালাল মিয়া (৪৫) নামের আরও একজন। তিনি কোম্পানীগঞ্জের গয়াব আলীর ছেলে।
এর আগে ভোর ৭টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সালুটিকরের পিয়াইনগুল কাজী কলিমুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অটোরিকশাচালকসহ ছয়জন। এদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। বাকি দুজনের একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এবং অপরজন মানিকগঞ্জের বাসিন্দা।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে জালাল মিয়া নামের একজন মারা গেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধর্ল্লা গ্রামের সোলেমান আহমদ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৯-৭৪৬২) নিয়ে সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনস্পটে যাচ্ছিলেন। এসময় কোম্পানীগঞ্জ থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিলেট শহরে আসছিল। সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সিলেটের গোয়াইনঘাটের সালুটিকর পিয়াইনগুল এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসের একটি চাকা পাংচার হয়ে যায়। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়িই পার্শ্ববর্তী হাওরের পানিতে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশার চালকসহ ছয়জন ও মাইক্রোবাসের চালক মারা যান। আহত হন মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী।
সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জহির জানান, নিহতদের সবার নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাওরুয়া আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক মাওলানা কাজী আমির উদ্দিন (৪২), অটোরিকশাচালক একই উপজেলার ইসলামপুরের মো. শাহজাহানের ছেলে কালন মিয়া (৩০), বতুমারা গ্রামের মৃত হুছন আহমেদের ছেলে ইদ্রিস আলী, উত্তর টুকেরগাঁওয়ের সুরুজ্জামানের স্ত্রী রিতা আক্তার (৩০), ইসলামপুর গ্রামের গয়াব আলীর ছেলে জালাল মিয়া (৪৫), সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাগলি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে একাব্বর আলী (৫৫) ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের চালক ঢাকার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ ধর্ল্লা গ্রামের দোয়াত আলীর ছেলে আবু তাহের (৫০)।
আহত যাত্রীরা হলেন ঢাকার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা গ্রামের সোলেমান আহমদ (৪১), তার ছেলে আফনান আহমদ (৭), একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে নাসিতা নোহা (৫) ও আল-আমিন (৪০)।
বুইউ