বগুড়াঃ তীব্র তাপদাহে জনজীবন ও প্রকৃতিতে আকাঙ্ক্ষিত হয়ে পড়েছিল বৃষ্টি। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির মৃদু সম্ভাবনা দেখা গেলেও তা হাতছানির মধ্য'ই সীমাবদ্ধ থেকেছে। অবশেষে রোববার (১১ জুন) রাত ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে অঝোরে বৃষ্টি পড়তে থাকে। বৃষ্টির সাথে বইতে থাকে দমকা হাওয়া। এসময় গ্রামীন ছোট ছোট বাজারগুলোতে আটকা পড়ে দোকানি এবং সাধারণ মানুষ। বাড়ি ফেরার তাড়া থাকলেও বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ ও ঠান্ডা বাতাসের পরশ উপভোগ করতে'ই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তারা।
এদিকে বৃষ্টির শুরুতে লোডশেডিং শুরু হলেও ঠান্ডা বাতাসের পরশে অন্ধকারের আমেজ ছিল উপভোগ্য। টানা ১ ঘণ্টা ঝুম বৃষ্টির পর বৃষ্টি পরিণত হয় ফোঁটায় ফোঁটায়। এসময় বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্নস্থানে আটকে পড়া মানুষগুলো। আবার আম কুড়াতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে অনেকে। ঝুম বৃষ্টি শেষে দেখা মেলে বিদ্যুতের।
সোমবার (১২ জুন) ভোর থেকে শুরু হয় টিপ টিপ বৃষ্টি। ঘণ্টাখানেক পর থেমে যায় টিপ টিপ বৃষ্টি। বৃষ্টিতে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে খবর মিলেছে জনজীবনে স্বস্তি ফেরার।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন সদস্য আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, তীব্র তাপদাহে বৃষ্টি ছিল আকাঙ্ক্ষিত। কয়েকদিন মেঘের দেখা মিললেও বৃষ্টি ছিল অধরা। বৃষ্টির সাথে সাথে দুপচাঁচিয়ার প্রকৃতিতে নেমে এসেছে শান্তির ধারা।
পালীমহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক শামছুজ্জামান ছালাম বলেন, শুধু জনজীবনের জন্য'ই নয়, তীব্র তাপদাহের প্রভাব ছিল প্রাণীকুল ও প্রকৃতিতে। ছোট ছোট উদ্ভিদের টিকে থাকা ছিল দায়। একপশলা অতি আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি জনজীবনে এনেছে স্বস্তি, পুলকিত হয়েছে প্রকৃতি।
দেওয়ান পলাশ/বুইউ