লক্ষ্মীপুরঃ ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে পালানোর সময় রনি (৩০) ও মুনসুর (২৫) নামের দুইজনকে আটক করেছে জনতা। বুধবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের কলেজ রোডের চৌধুরী সুপার মার্কেটের ‘আর কে. শিল্পালয়ে ৭ থেকে ৮ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে স্বর্ণের দোকান থেকে নগদ অর্থ ও অলংকার লুটে নেয়। এসময় তারা দোকানের স্বত্বাধিকারী অপু কর্মকারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। অপু কর্মকারকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে অমি কর্মকারও আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কাশেম ও বিপ্লব সরকার জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ কয়েকজন লোক স্বর্ণের দোকানে প্রবেশ করে। আর একজন বাইরে দাঁড়িয়ে একটি ব্যাগ থেকে বিস্ফোরণ করে চতুর্দিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। ভয়ে সবাই বিভিন্ন দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তারা ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে স্বর্ণালংকার লুটে নেয় এবং অপুকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তারা একটি পিকআপ ভ্যানে করে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির পিকআপটি শহরের ইটেরপোল এলাকায় যাওয়ার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজনকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ছবি উল্লাহ (৭৫) ও মো. ইসলাম (৫০) নামে দুইজন গুরুতর আহত হয়। পিকআপ ভ্যানটি উল্টে যাওয়ার পর কয়েজন ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা দুইজনকে আটক করে। পরে পুলিশ তাদের কাছ থেকে রক্ত মাখা দুইটি চাপাতি, দুইটি হাত বোমা এবং লুট করা কিছু স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে। এদিকে আহত ছবি উল্ল্যাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছবি উল্ল্যা পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের ইটের পুল এলাকার পাঠান বাড়ির বাসিন্দা বলে জানা যায়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপু কর্মকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, ডাকাতির পর স্থানীয়রা রনি ও মুনসুর নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কিছু সরঞ্জাম ও একটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মো: রবিউল ইসলাম খান/বুইউ