বগুড়াঃ জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এবার ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছে কৃষকরা। যত্ন আর ভালবাসায় বেড়ে ওঠা ধানগাছগুলি সবুজাভ থেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ধান ঘরে তুলতে শুরুও করেছে কেউ কেউ। নতুন ধান ঘরে তুলতে কৃষকের চোখজোড়া প্রত্যাশার সোনালী স্বপ্ন বাসা বাঁধলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্ভাবনায় কৃষকের হৃদয়জুড়ে রয়েছে শঙ্কা।
কৃষকরা জানান, তীব্র তাপদাহে অস্বস্তিতে পড়েছে জনজীবন। প্রকৃতি ও জীবনের জন্য বৃষ্টি হয়ে পড়েছে কাঙ্ক্ষিত। আবার ফসল ঘরে তোলার সময় বৃষ্টি হলে ধানকাটা ও মাড়াইয়ের জন্য গুনতে হবে অতিরিক্ত ব্যয়। তাছাড়া বৈরি ও দঁর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বে ধানচাষীরা।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আমশট্ট গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আ. সামাদ বলেন, ঋণ করে ঈদুল ফিতরের ঈদে ছেলেমেয়েদের বায়না মিটিয়েছি। তাছাড়া জমি বর্গা নিতে ও ধানচাষ করতে সামান্য ঋণ নিতে হয়েছে। ভালোভাবে ধান ঘরে তুলতে পারলে তা বেচে ঋণ পরিশোধ করে কিছু টাকা সঞ্চয় করা যাবে।
একই এলাকার কৃষক মানিক চন্দ্র জানায়, ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হওয়ার সম্ভবনায় ধানের ভাল ফলনের খুশির সাথে যোগ হয়েছে শঙ্কা।
ধানব্যবসায়ীরা জানায়, নতুন ধান ১১০০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা মন দরে কেনা হচ্ছে। তবে কৃষকরা বলছে, ক্রমবর্ধমান বাজারে ধানের দাম ১৫০০ টাকায় বিক্রি করতে পারলে স্বস্তি পেত কৃষকরা।
দেওয়ান পলাম/বুইউ