ফেনীঃ দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে চারজনের লাশ ফেনীর নিজ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (২ মার্চ) সকালে জানাজা নামাজ শেষে তাদের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দূর্ঘটনায় ৬ বাংলাদেশী নিহত হয়। তাদের সবার বাড়ি ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে লাশ দেশে আসার পর গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিহত আবুল হোসেন (৪৫), রাজু আহমেদ (৩৪), ইসমাইল হোসেন (৩৮) ও মোস্তফা কামালের (৪০) লাশ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
শুক্রবার সকাল ৯টায় দাগনভূঁইয়া উপজেলার মাতুভূঁঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামের রাজু আহমেদের জানাজা করিমুল্লাহ হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। একই উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামের মো. মোস্তফা কামাল পুফেলের জানাজা নিয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। ফেনী সদর উপজেলার পাঁছগাছিয়ার বিরলী গ্রামের ইসমাইলের লাশ সকাল ১০টায় বাড়ীর সামনে জানাযা শেষে দাফন করা হয়। এছাড়াও সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর গ্রামের আবুল হোসেনের লাশ সকাল সাড়ে ১০টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আবুল হোসেনের ১০ বছরের শিশু নাদিমের লাশ দক্ষিণ আফ্রিকায় দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হওয়ার পর নিহত আনিসুল হকের লাশ কয়েক দিনের মাঝেই দেশে নিয়ে আসা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোররাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের লোকানকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বছরের এক শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি নিহত হন। ওই বাংলাদেশিদের বহনকারী একটি প্রাইভেট কার ওয়েস্টার্ন কেপ থেকে কেপটাউন বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। নিহত ব্যক্তিরা হলেন—আবুল হোসেন (৪৫), তার ছেলে নাদিম হোসেন (১০), রাজু আহমেদ (৩৪), ইসমাইল হোসেন (৩৮) ও মোস্তফা কামাল (৪০)। এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিসুল হক মিলন (৩৮)।
স্বজনেরা জানান, ১০ বছরের শিশু নাদিমের লাশ দক্ষিণ আফ্রিকায় দাফন করা হয়েছে। এখন আনা হয়েছে আবুল হোসেন, রাজু, ইসমাইল ও মোস্তফার লাশ। আনিসুলের লাশ আসবে পরে।
বুইউ