ঝিনাইদহঃ জেলার মহেশপুর উপজেলার লড়াইঘাট সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আরিফুল ইসলামের লাশ ১৭ দিন পর ফেরত পেয়েছে তার পরিবার।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পতাকা বৈঠক শেষে উপজেলার শ্রীনাথপুর সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তর করে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ভারতের হাসখালী পাখিউড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আরিফুলের মৃত্যু হয়। আরিফুল ইসলাম উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিজিবির ঝিনাইদহের খালিশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়। তারা লাশ ফেরত দিতে দেরি করে।
শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন গরু আনতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। ওমরপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে তারা বিএসএফের পাখিউড়া ক্যাম্পের টহলদলের সামনে পড়ে যায়। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিতে আরিফুল ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে আসে বলে জানান শহিদুল। পরদিন বিএসএফের মরদেহ ভারতের নদীয়া জেলার হাঁসখালী থানায় নিয়ে যায়। কৃষ্ণনগর হাসপাতালের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় বিজিবির শ্রীনাথপুর কোম্পানি কামান্ডার সুবেদার লুৎফর রহামান, শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুল হক এবং মহেশপুর থানার এসআই আসাদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বুইউ