কুষ্টিয়াঃ কুমারখালীতে ভাতের সাথে বিষ মিশিয়ে শাহিন (৫) শিশুকে হত্যার অভিযোগে সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সে সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রবিবার দুপুরের দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন পাবনা সদর উপজেলার চর ভবানীপুর ওস্তার আলী মৃধার মেয়ে নাছিমা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামির স্বামী বাদশা প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর দুইটি পুত্র সন্তান রেখে মারা যায়। ছেলেদেরকে দেখাশোনার জন্য কুমারখালী উপজেলার চরভাবনীপুর গ্রামে নাছিমা নামে একজনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
গত ২০০৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার সময় সাজাপ্রাপ্ত ঐ নারীর স্বামী বাদশা বাড়ী থেকে মাঠে যান কাজে। সাজাপ্রাপ্ত নাছিমা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তার ছোট ছেলে শাহিনকে ভাতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে গালে তুলে খাওয়ান। পরে ঐ শিশু অসুস্থ হলে স্থানীয় লোকজন তাকে খোকসা স্বাস্থ্য কম্পলেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঐ নারীর বিরুদ্ধে তার স্বামী বাদশা খোকসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হাবিবুর রহমান গত ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারীতে তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালতে দীর্ঘ শুনানীপর স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
বুইউ