ফেনীঃ গানে গানে মেতে উঠে ফেনীর হাজার হাজার দর্শক। ইত্যাদি’র রের্কডিং অনুষ্ঠান দেখতে জনস্রোত নামে ফেনী পাইলট স্কুলের মাঠসহ আশপাশের এলাকায়। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, পর্যটন ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে গিয়ে ধারণ করা হয় হানিফ সংকেতের জনপ্রিয় বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'। সেই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদি এবারের পর্ব ধারণ করা হয় ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল মাঠে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাত ৮টার সংবাদের পর ইত্যাদির এ পর্ব প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল মাঠে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদির কিছু অংশ। এ মাঠকে ঘিরে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা ইতিহাস। অনুষ্ঠানের মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করা হবে দক্ষিণ পূর্ব বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফেনী সরকারি কলেজের পুরনো ভবন।
হানিফ সংকেত মঞ্চে আসার সঙ্গেই শুরু হয় করতালি।
ফাগুন অডিও ভিশনের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্ব সাজিয়েছে। ইতোমধ্যে 'পাহাড় নদী বহমান এই ফেনী' আঞ্চলিক গানের সঙ্গে ৬৫ স্থানীয় শিল্পী দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেনি। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্টেজ পারফর্মমেন্স, নানি-নাতি পর্ব, মলম পার্টি নিয়ে একটি নাট্যাংশ, দর্শক পর্ব।
নির্বাচিত চার দর্শকের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন ফেনীর সন্তান অভিনেত্রী শমী কায়সার।
এদিকে ইত্যাদির ধারণের কথা জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকায় বয়ে যায় উৎসবের আমেজ। পাইলট স্কুলের মাঠে তিল ধরনের ঠাঁই ছিল না। সামনের কলেজ রোড, রাজাঝির দিঘির পাড় এবং আশপাশের ভবনগুলো থেকে মানুষ ইত্যাদি উপভোগ করে।
এদিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, মঞ্চস্থলের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃংখলা কাজে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে দর্শকরা ইত্যাদি উপভোগ করেছে।
বুইউ