Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২, ০৯:৩৫ এএম
কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

কুমিল্লাঃ চট্টগ্রামের রাউজান এলাকার জাপান প্রবাসী সুকুমার বড়ুয়া সুকু'র স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের কনস্টেবল রিমন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

রিমন বড়ুয়া এখন কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অধীনে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জাপান প্রবাসী। তিনি বলেন, বিগত ২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। বৈবাহিক জীবন তাদের সুখে-শান্তিতে অতিবাহিত হচ্ছিল। তাদের সংসারে ১৭ বছরের এক মেয়ে ও ১১ বছরের এক ছেলে রয়েছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জাপানে অবস্থান করার সুবাদে তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়া। সম্পর্ক গড়াতে গড়াতে একপর্যায়ে তারা অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়। স্ত্রীর সঙ্গে রিমন বড়ুয়ার অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি তার ছেলে-মেয়েরা দেখে ফেলে। মোবাইল ফোনে বিষয়টি তারা বাবাকে জানায়। এরপর প্রবাসী দেশে এসে রিমনকে তার দীর্ঘদিনের সংসার না ভাঙার অনুরোধ করেন। একাধিকবার বলার পরও রিমন বিষয়টি আমলে নেয়নি। উল্টো র‍্যাবে চাকরি করার সুবাদে তিনি সন্তানসহ সবাইকে ক্রসফায়ারে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন।

ওই প্রবাসী অভিযোগ করে আরও বলেন, সর্বশেষ গত ১ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যান। এ বিষয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। দুদিন অজ্ঞাত স্থানে রাখার পর ৩ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এরপর ২২ মার্চ পুনরায় নগদ ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ আমার স্ত্রীকে রিমন ভাগিয়ে নিয়ে যায়। সেই থেকে আমার স্ত্রীর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

ভুক্তভোগী প্রবাসীর ১৭ বছর বয়সী মেয়ে বলেন, পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া আমার বাবা ও আমাদের ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা জীবন শঙ্কায় আছি। আমরা কয়েক মাস ধরেই মাকে পাচ্ছি না। আমরা আমাদের মাকে ফেরত চাই। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া বলেন, আমি মৌসুমিকে ভালবাসি, সে ও আমাকে ভালবাসে। এরপর ভালবাসার টানে আমারা ঘর-সংসার করার সিদ্ধান্ত নেই এবং মৌসুমি পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করে। 

এ ব্যাপারে মিরপুর ফার্ড়ির ইনর্চাজ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়ার বিষয়টি অবগত আছি। তাদের (রিমন ও তার স্ত্রী মৌসুমি) বিরুদ্ধে সুকুমার বড়ুয়া আদালতে মামলা দায়ের করেছে এবং উক্ত মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

এমইউ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে