পটুয়াখালীঃ কলাপাড়ায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ও ইব্রাহীম দুজনে শেড পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছে সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ। ইব্রাহীম ১৮ শতক জায়গায় শেড তৈরি করে রোপন করেছেন ৭ শতাধিক মরিচের চারা। মাত্র ৫৫ হাজার টাকা উৎপাদন খরচে একটি বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। ইতোমধ্যেই ফল এসেছে সিংহভাগ গাছে। অপেক্ষা করছেন পরিপক্ক ফসলের। তার ভাষ্যমতে সবকিছু ঠিক থাকলে দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহের মাধ্যমে ২ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন তিনি।
ইব্রাহীম জানান, বর্তমানে সুগন্ধি মরিচে লাভ ভালো হওয়ায় শেড করে মরিচের চাষাবাদ শুরু করেছেন তার মত অনেকেই।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, অল্প কিছু জমিতে ক্ষেত আর অনেক কম পরিচর্যায় হচ্ছে লক্ষ টাকা আয়। রোদ-বৃষ্টির তেমন কোন সমস্যা না থাকায় রক্ষণাবেক্ষণ করার বাড়তি সময়ও থেকে যায়। সামান্য কিছু উৎপাদন খরচেই কৃষকরা আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা বাঁশ আর পলিথিনের তৈরি শেড পদ্ধতিতে এখন ১২ মাসই চলে সুগন্ধি মরিচের চাষাবাদ। দেশী প্রজাতির এ বোম্বাই-সুগন্ধি মরিচের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় দিনে দিনে আরো উদ্যোগী হচ্ছেন উপকূলীয় কৃষকরা।
আঞ্চলিক ভাষায় সুগন্ধি মোম্বাইকে বলা হয় ঘৃত বোম্বাই মরিচ। যা ইংরেজি ভাষায় অনেকেই চেনে নাগা মরিচ হিসেবে। বর্তমানে উপকূলীয় চাষিরা এই মরিচ উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
আরেক সৃজনশীল চাষী নজরুল ইসলাম ১২ শতক জমিতে শেড করে প্রায় ৫ শতাধিক মরিচের চারা রোপন করেছেন। তিনি জানান, তার ক্ষেতে উৎপাদিত মসলা জাতীয় এ ফসল বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করবেন তিনি। তার দাবি, এবছর অনাবৃষ্টিতে রোদের তীব্রতা বেশি থাকায় কিছুটা মরিচের ফুল ঝড়ে গেছে। তা না হলে আরো বেশি লাভের আশা করেছিলেন তিনি। ভবিষ্যতে আরো বেশি জমিতে মরিচ আবাদের প্রচেষ্টা এ কৃষকের।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, আমারা মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি, যাতে করে কৃষকরা এ সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ চাষে আরো উন্নতি করতে পারে। এছাড়াও কোন প্রকার রোগ-বালাই, কীটনাশকসহ সব ধরনের সার প্রয়োগ করার জন্য কৃষককে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের কৃষকরা শেড পদ্ধতিতে মসলা জাতীয় ফসল এ সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ চাষে আরো উদ্যোগী হবে বলে তিনি জানান।
রাসেল কবির মুরাদ/এমএম