Dr. Neem on Daraz
Victory Day

রাজবন বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন


আগামী নিউজ | উপজেলা প্রতিনিধি, সদর (রাঙ্গামাটি) প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২, ০৩:২৬ পিএম
রাজবন বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন

রাঙ্গামাটিঃ সকল প্রাণীর সুখ-শান্তি ও মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য ধর্মীয় শোভাযাত্রা ও পূণ্যানুষ্ঠান। গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও নির্বাণ লাভ এই ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।

সোমবার (১৬ মে) সকাল ৭টায় রাজবন বিহার উপাসক উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজবন বিহারে গিয়ে শেষ হয়। এতে পতাকা হাতে নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

শোভাযাত্রা শেষে ধর্মীয় সভায় মিলিত হয় পূণ্যার্থীরা। ত্রি-স্মৃতি বিজরিত শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে সকল প্রাণীর হিতার্থে বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘদান, হাজার প্রদীপ দান, প্যাগোডার উদ্দেশ্যে টাকা দানসহ নানাবিধ দানানুষ্ঠান এবং উৎসর্গ করা হয়। এছাড়া পৃথিবীর সকল মানব জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এ সময় পূণ্যানুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। এছাড়াও জেলা পরিষদের সদস্য ইলিপন চাকমা, রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসা, বালুখালি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ানসহ সমবেত পূণ্যার্থীবৃন্দ প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিখিল কুমার চাকমা বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত অহিংসার মাধ্যমে সকলে সাম্যমৈত্রী প্রীতি বন্ধনে আবদ্ধ থাকা। বুদ্ধপূর্ণিমা শুধু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নয় সকল সম্প্রদায়ের মানব জাতির তাৎপর্যময় দিন। আমাদের মানব জীবনে গৌতম বুদ্ধের বাণীগুলো অনুসরণ করতে হবে, বুদ্ধের চেতনাগুলো পালন করতে হবে। এ সময় সকলের প্রতি সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেন তিনি।

বুদ্ধ পূর্ণিমার মাধ্যমে সকল প্রকার লোভ, দ্বেষ, তৃঞ্চা, মোহ, হিংসা, সংঘাত পরিহার করে সৎ পথে চলতে ও মৈত্রীপূর্ণ মনোভাব নিয়ে একে অপরে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার আহ্বান জানিয়ে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও শিষ্যসংঘের প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।

এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে