কুড়িগ্রামঃ চরাঅঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম আবাসন আগামী রাস্তার খালের উপর ৩০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি ব্রিজ নির্মাণের তিন মাস যেতে না যেতেই ব্রিজটি ধসে পড়ে। বছরের আট মাস খালটিতে পানি থাকায় ড্রামের উপর চাটাই দিয়ে অতি কষ্টে দীর্ঘদিন থেকে চলাফেরা করছেন ওই এলাকার একটি আবাসনের লোকসহ দুটি গ্রামের দুই হাজারেও বেশি মানুষ। প্রতিনিয়ত ড্রামের উপর চাটাই দেয়া ভেলায় পারাপার হতে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার অনেকেই। এছাড়াও চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা নেয়া করতে চরম বিপাকে পড়েছেন ও এলাকার কৃষক।
অভিযোগ উঠেছে, সে সময় নির্মাণকৃত এ ব্রীজটির নির্মাণ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটিএম দেলোয়ার হোসেন টিটু, নির্মাণকালে নিম্নমানের সামগ্রী ও নিয়মমাফিকভাবে তৈরি না করায় বন্যা আসার আগেই তিন মাস না যেতেই ধসে পড়েছিল ব্রীজটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি তাদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত এখানে আরেকটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের।
ড্রামের ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
এলাকাবাসী মইনুল হক,আশরাফ আলী ও মমেনা বেগম জানান, আমরা চরাঞ্চলের মানুষ এমনিতেই অবহেলিত অনেক দাবি দাওয়ার পরে আমরা একটি ব্রিজ পেয়েছিলাম, সেটিও তিন মাস যেতে না যেতেই ধসে পড়েছিল। সেই থেকে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের এই খালটির উপর দিয়ে চলাফেরা খুবই কষ্ট, তাই এলাকাবাসী চাঁদা তুলে গ্রামের উপর চাটাইয়ের ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়। এছাড়া আমাদের স্কুলগামী ছেলেমেয়েরা অতিকষ্টে ভেলায় চড়ে প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওয়া করে। এছাড়া আমাদের পালিত গবাদি পশু অনেক কষ্টে নদী পার হয়।
বড়ভিটা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু জানান, নির্মানের ৩ মাস যেতে না যেতেই বৃষ্টি ভেঙে যাওয়ায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার মানুষ অতি কষ্টে গ্রামের ভেলাতে করে পারাপার হচ্ছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি এখানে একটি নতুন করে ব্রিজ দেয়া হোক এতে করে ওই এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘব হবে।
নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব জানান, রাস্তাটি গেজেটভুক্ত নয় সামনের উপজেলা সমন্বয়ের মিটিংয়ে আলোচনা করে যদি রাস্তাটি গেজেটভুক্ত করা যায়, তাহলেই সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ সম্ভব হবে।
জাহাঙ্গীর আলম/এমএম