নোয়াখালীঃ নিজের স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও সহায়তার দায়ে অভিযুক্ত এসআই স্বামীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নিহত গৃহবধূর স্বজনেরা।
অভিযুক্ত উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান রহমান (৩৬) সে চট্টগ্রাম জেলার আরআরএফ এ সংযুক্ত রয়েছে।
রোববার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। নিহত ফাতেমা আক্তার কলি (২৫) নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ গ্রামের টোকেনের বাড়ির আহছান উল্যার মেয়ে।
এ ঘটনায় রোববার (২৭ মার্চ) সকালে নিহতের পিতা আহছান উল্যাহ বাদী হয়ে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও সহায়তার দায়ে তাঁর স্বামী ও তাঁর বন্ধুসহ ৫জনকে আসামি করে চট্রগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৩০। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলের দিকে চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগের ৮ নং রোড়ের হক সাহেবের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে পারিবারিক ভাবে সুধারাম থানার বিনোদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলের সাথে বিয়ে হয় কলির। তারা স্বামী-স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে চট্রগ্রামের হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। তাঁর স্বামী বদ মেজাজী হওয়ায় কারণে অকারণে স্ত্রীকে মারধর করত। এছাড়া তাঁর স্বামীর সাথে তাঁর বন্ধু বাদশার স্ত্রী অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সে তাঁর পিতাকে জানায়। এ ছাড়াও সে অবৈধ পথে অনেক টাকা উপার্জন করত।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এসব নিয়ে নিহত কলি তাঁর স্বামীকে বুঝানোর চেষ্টা করলে সে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করত। গত কয়েক মাস আগেও তাকে বেধড়ক পেটায় তাঁর স্বামী। তখন তাঁর মা তাদের চট্রগ্রামের বাসায় গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে। এ সমস্ত ঘটনা কলিকে তার মা-বাবাকে জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয় স্বামী। গত শুক্রবার ২৫ মার্চ বিকাল ৫টার দিকে নিহতের স্বামী তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানায় তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে চট্রগ্রাম মাও শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে নিহতের পিতা হালিশহর থানায় গিয়ে জানতে পারে তাঁর মেয়ে মারা গেছে এবং লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। হাসপাতালের মর্গে থেকে লাশ আনতে গিয়ে নিহত কলির শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন তাঁর পিতা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, চট্রগ্রামের হালিশহরে নোয়াখালীর এক মেয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তাঁর স্বামীর শাস্তির দাবিতে জেলা শহর মাইজদীতে লাশ নিয়ে নিহতের স্বজনেরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।
মুজাহিদুল ইসলাম/এমএম