নওগাঁঃ জেলার ধামইরহাটে চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হবে- এমন আশা ব্যক্ত করেছেন উপজেলার লিচু বাগান মালিকরা। কেননা বাগান, বসত ভিটা ও আঙ্গিনায় যে খানেই লিচুর গাছ ওই গাছেই থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচুর মুকুল। আর সেই মুকুল থেকে বাতাসে ছড়িয়ে দিচ্ছে মধুর সুঘ্রান। এই ঘ্রান জানান দিচ্ছে মধু মাস আসন্ন। তাই প্রকৃতির ইশারায় আম, জাম, সজনা ও লিচুর গাছ ভরে গেছে ফুলে ফুলে। সাথে সৌন্দর্য বর্ধন হয়েছে প্রকৃতির। মুকুলের ভারে হেলে পড়েছে গাছের ডাল ঢেকে গেছে পাতা। লিচুর গাছে গাছে মধু সংগ্রেহে এখন মৌমাছির গুঞ্জুনে ভারি হয়ে উঠেছে বাগান এলাকা। আর রাতের আধাঁরে জোনাকি পোকার মিটি মিটি আলো যেন রাঙ্গিয়ে তুলেছে লিচুর বাগান। সুস্বাদু ও রসালো এ ফলের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচু চাষ শুরু করে দিয়েছে এবং বাগানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এ উপজেলায় বিভিন্ন জাতের লিচুর চাষ হলেও বিশেষ করে, চায়না-থ্রি, চায়না-ফোর, বেদেনা, বোম্বায় ও মাদ্রাজি জাতের লিচু বেশী উৎপাদন করছেন বাগান মালিক। লিচু গাছে মুকুল আসলেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বেপারী/লিচু ব্যবসায়ীরা এক মৌসুমের জন্য বাগান দামিয়ে নেয়। তারপর লিচু গাছে বিভিন্ন রকমের ঔষধ প্রয়োগসহ বাগানের পরিচর্চা শুরু করেন। লিচু বাজার জাতের উপযোগী হয়ে উঠলে ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে লিচু পেড়ে নিয়ে বাগান ছেড়ে দেন। এতে বাগান মালিকরা যেমন লাভবান হন তেমনি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন। উপজেলার বস্তাবর গ্রামের বাগান
মালিক মাসুদুর রহমান বলেন, এ বার লিচু গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে যদি প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হয় তা হলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।
মাসুদ সরকার/এমবুইউ