মৌলভীবাজারঃ দেশের বিক্ষাত পর্যটন নগরী হচ্ছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। সুনীল আকাশ আর সবুজের সমারোহ আর অপরূপ সৌন্দর্য শোভিত চা শিল্পাঞ্চলের বিশাল গৌরব ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে শ্রীমঙ্গলে নির্মিত হয়েছে চা-কন্যা ভাষ্কর্য। নারী ও চা শ্রমিক’ এ দু’টি বিষয়কে প্রতীক হিসেবে তুলে আনা হয়েছে এ ভাষ্কর্যে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আঁকা-বাঁকা দীর্ঘ পথের দু’পাশে ছড়ানো ঘন সবুজ চায়ের বাগান।পাহাড়ের সমারোহ ও রয়েছে এর আশপাশ জুড়ে। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এক কোণে নীরবে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে ‘চা-কন্যা’। প্রতিদিন শত শত দেশী-বিদেশী পর্যটকরা একপলক দৃষ্টি ফেরান এই ভাষ্কর্যের দিকে।
চা-শিল্পাঞ্চলের দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে এই ভাষ্কর্যটিতে। চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের প্রবেশদ্বারে স্থাপিত এক নারী চা শ্রমিকের চা-পাতা উত্তোলনের দৃশ্য সম্বলিত ‘চায়ের দেশে স্বাগতম’ শিরোনামের এ ভাষ্কর্যর্টি দেশি-বিদেশি প্রকৃতি প্রেমীসহ সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সাতগাঁও চা বাগানের অর্থায়নে প্রায় দশ লাখ টাকা ব্যায়ে চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও চা বাগানে নির্মাণ করা হয়েছে এ দৃষ্টিনন্দন ভাষ্কর্যটি।
দেশের চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র আর্ট টিচার সঞ্জিত রায় এই ভাষ্কর্যটির নকশা প্রস্তুত করেন। এক নারী চা-কন্যা ও চা গাছের আদলে তৈরি করা হয়েছে এ ভাষ্কর্যটি। নিজহাতে এ ভাষ্কযটি নির্মাণ করতে তার সময় লাগে ১ মাস ২০ দিন। এ বিষয়ে সঞ্জিত রায় জানান, এ ভাষ্কর্যটি নির্মাণ করতে ইট-সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ইট-সিমেন্টের ঢালাই কেটে কেটে সযত্নে তৈরি করা হয়েছে এটিকে। এর উচ্চতা ২৪ ফিট এবং নিচের বেইজমেন্ট দৈঘ্য ৮ ফিট এবং প্রস্থ ৮ ফিট।
দেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় করেন এখানে। এ ভাষ্কর্যটির সৌন্দর্য এক নজর দেখে এ পথে যাতায়াতকারী অগণিত মানুষ বিমোহিত হয়ে যান।
আগামীনিউজ/এমবুইউ