পটুয়াখালীঃ কলাপাড়ায় লক্ষীরহাট ও বরকুতিয়ার সংযোগ স্থলে খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নির্মাণাধীন আয়রণ ব্রীজটি অপরিকল্পিত দাবি করে স্থানীয় নৌ-যানের মালিক ও জেলেরা প্রতিবাদ করেছেন। তাদের দাবি, ব্রীজটির নির্মাণ কাজ যেভাবে এগুচ্ছে তাতে
ওই ব্রীজের নিচ থেকে কোন মাছধরা ট্রলার চলাচল করতে পারবে না। পায়রা বন্দর
এবং রামনাবাদ চ্যানেল থেকে উঠে এসে মৎস্য বন্দর মহিপুরে ইলিশ বিক্রি এবং বরফ আনা নেওয়ায় এই সেতু বড় রকমের বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। নির্মাণাধীন সেতুটির বর্তমান নকশায় পরিবর্তন এনে অন্তত তিন মিটার উচ্চতার দাবি জানিয়ে শনিবার রাতে গনমাধ্যমকে এ তথ্য অবহিত করেন স্থানীয় জেলেরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে ভেঙ্গে যাওয়া আয়রণ ব্রীজটির চাইতে নির্মাণাধীন ব্রীজটি নদীর লেভেল থেকে অন্তত ৫ ফুট নিচু। ফলে মাছধরা ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযান ব্রীজের নিচ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল বিঘ্নিত হবে।
ধুলাস্বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ: জলিল আকন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আগের
ব্রীজটি ট্রলারের ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে। এখন আরও নিচু করে নির্মাণ করা হচ্ছে। নদীর পানির লেভেল থেকে আরও অন্তত ৭ ফুট উচু করার বিকল্প নেই।
কলাপাড়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো: মহর আলী এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত আয়রণ ব্রীজের স্থায়ীত্ব নিয়ে ব্যাপক শঙ্কা প্রকাশ করে গনমাধ্যমকে জানান,
লবনাক্ত পানিতে আয়রণ ব্রীজ করায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তবে জেলেদের নৌযান চলাচলে বিঘ্নের আশঙ্কা কাটাতে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
আগামীনিউজ/এমবুইউ