চট্টগ্রামে সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণে গতি পেয়েছে। প্রতিদিনই শনাক্তের হার বাড়ছে। শিথিল বিধিনিষেধের কারণে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে শঙ্কা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। একই সঙ্গে মৃত্যুও বাড়বে।
|চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪৫৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এছাড়া নগরে শনাক্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে এদিন ২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ১৪টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৬০ জন নগরের ও ৩৯৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৫ জন। এর মধ্যে নগর এলাকায় ৮৩ হাজার ৮৪০ জন এবং উপজেলায় ৩১ হাজার ৭৫ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যুবরণ করা ১ হাজার ৩৪৮ জনের মধ্যে ৭২৯ জন নগর এবং ৬১৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৫ দিনে শনাক্ত ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অথচ এর আগের তিন মাসে এক হাজার রোগীও শনাক্ত হয়নি।এত দ্রুত রোগী বাড়তে আগে কখনও দেখা যায়নি। অনেক রোগী টেস্টের বাইরে রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যতো সংখ্যাক মানুষ আক্রান্ত তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যাক রোগী করোনা টেস্ট করছেন। করোনা টেস্ট সহজলভ্য না হওয়ায় অনেকেই টেস্ট করাচ্ছেন না।
পরিবারের একজনের করোনা হলে অন্য সদস্যরা দ্রুত করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। সতর্কতার বিকল্প নেই। মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই বলছেন চিকিৎসকরা। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মৃদু বলে অবহেলার সুযোগ নেই।
এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চট্টগ্রামের পর্যটন স্পটগুলোতে এখনো ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। গণপরিবহন, শপিংমল, পর্যটন স্পট কোথাও পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অবশ্যই সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
আগামীনিউজ/নাসির