ঠাকুরগাঁও: জেলার রাণীশংকৈলে বড় মার্কেটের দোকানগুলোতে এখনো জমে ওঠেনি গরম কাপড় বিক্রি। তবে ফুটপাতে পুরোনো কাপড়ের দোকানে পোশাক কিনতে আসা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলো। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার শীতে কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি।
সরেজমিনে পৌরশহরে ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার শিবদিঘী এলাকার দুই ধারে ও নেকমরদ বাজারের ফুটপাতে বসেছে গরম কাপড়ের দোকান। এ সব অস্থায়ী দোকানে শীতের পোশাক ক্রয় করছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।
নেকমরদ বাজারে গত ১০ বছর ধরে ব্যবসা করেন মোতালেব হোসেন। তিনি বলেন, ‘বছরের অন্যান্য সময় বিক্রি হয় না। সেই সময় অন্য কাজ করতে হয়। শীতে পুরোনো কাপড়ের ব্যবসা করি। কিন্তু এ বছর এত দিন তেমন শীত পড়ছিল না, হঠাৎ গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। লোকজন শীতের পোশাক কিনতে বাজারে আসছেন। সারা দিন দোকানে ভিড় লেগেই আছে, বেচাবিক্রিও বেড়ে গেছে।’
শামসুল নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘সারা দিন ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে। গত এক সপ্তাহ আগেও তেমন বিক্রি ছিল না, কিন্তু চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি করছি।’
ওই ফুটপাতে কথা হয় ধর্মগড় ইউনিয়নের মন্ডলপারা এলাকার আমিনুল ইসলাম ও আতিয়া নাসরিন দম্পতির সঙ্গে। তাঁরা জানান, বড় মার্কেটের দোকানগুলোতে শীতের গরম কাপড়ের যা দাম, তাতে স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। তাই পুরোনো কাপড়ের দোকানে এসেছি। গত বছরের তুলনায় এবার এখানেও দাম একটু বেশি। তবুও তাঁরা পরিবারের সদস্যদের জন্য সাধ্যমতো গরম কাপড় কিনেছেন।
পৌরশহরের কলেজ পাড়ার আমিনা খাতুন জানান, অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে ছেলেমেয়েদের জন্য চারটি গরম কাপড় কিনেছেন ৮৫০ টাকায়। রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আদিয়া আফরিন বলেন, শীত বাড়ায় দোকানদারেরা কাপড়ের দামও বাড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও বন্দর মার্কেটের এক দোকান থেকে একটি সোয়েটার কিনেছিলাম ৬০০ টাকা দিয়ে। এখন একই সোয়েটারের দাম হাঁকছে ১১ শ টাকা।’
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘গরিব মানুষের জন্য সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও ও সমাজের বিত্তবানদের এ গিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আগামীনিউজ/ হাসান