ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নাসিরনগর ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হালিমা খাতুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার ফান্দাউক ইউপির সওদাগর গ্রামে ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া কনে স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
নাসিরনগরের ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হালিমা খাতুন জানান, নবম শ্রেণির ঐ ছাত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার দুবাই প্রবাসী পাত্রের সাথে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। দুপুরে খবর পেয়ে কনের বাড়িতে বর ও বরযাত্রী উপস্থিত হওয়ার আগেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও।
পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০১৭ এর ৮ ধারায় কনের বাবাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, পাশাপাশি কনের বাবা মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেন না মর্মে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে মুচলেকা দেন। পাশাপাশি বর পক্ষকে ফোন করে বিয়ে করতে না আসতে বলা হয়। বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আগামীনিউজ/শরিফ