হবিগঞ্জ: জেলার চুনারুঘাটে কদিন ধরে রাত ও ভােরে শীতের আগমনী বার্তা টের পাওয়া যাচ্ছে। পড়ছে ভােরে হালকা কুয়াশা। শেষ রাতে এ অঞ্চলের মানুষের শরীরে উঠছে মােটা লেপ, কাঁথা ও কম্বল।
শীতের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই আগেভাগেই লেপ-তােশক-কম্বলের দোকানে ভিড় করছে। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে এসব কারিগরদের।
এ উপজেলায় কাপড়ের দোকানগুলােতে দোকানিরা কম্বল তুলতে শুরু করেছে। লেপ-তােশকের দোকানেও বেড়েছে নতুন লেপ বানানাের চাহিদা। পরে ভিড় বাড়তে পারে ভেবে লেপ বানানাের জন্য ছুটছে অনেকেই।
পৌরশহরস্থ ঈদগাহ রোডে অবস্থিত জনতা বেডিং এণ্ড আমব্রেলা ষ্টোরের প্রোপ্রাইটর মোঃ মশ্বব উল্লাহ বলেন, প্রতিদিন ২০-২৫ টা লেপ তৈরি করা হচ্ছে আমাদের শহরের নতুন বাজারস্থ ফ্যাক্টরিতে। সেখানে ১২জন কারিগর দিনরাত লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাই কারিগরদের দম ফেলার সময়টুকু নেই। দোকানে প্রতিদিন ৫-৬ টা করে লেপ-তোশকের অর্ডার মিলছে। তাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তােশক কারিগররা।
মোঃ মশ্বব উল্লাহ'র ফ্যাক্টরিতে হবিগঞ্জ সুলতানশী ও ইনাতাবাদ থেকে আসা লেপ-তোশকের কারিগর আঃ মালেক ও রাকিব মিয়া বলেন, এখন সারা দিনই লেপ-তোশক বানাতে হয়। কদিন আগেও এত ব্যস্ত ছিলো না। ধীরে ধীরে শীতের অনুভূতি হচ্ছে, বাড়ছে শীত। তাই আগেভাগেই লেপ- তোশক তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছে মানুষ।
লেপ -তোশক ব্যবসায়ী আরজু মিয়া ও খোকন আরমান বলেন, এক সপ্তাহ আগেও তেমন কাজ ছিল না। তবে বাজারে নিত্য প্রয়ােজনীয় জিনিসের সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে কাপড়, তুলাসহ ধুনকরদের পারিশ্রমিক। ভালো তুলা দিয়ে নুতনভাবে একটি সিঙ্গেল লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা, আর ডাবল লেপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। আর সিঙ্গেল তােশক ৯শ' টাকা এবং ডাবল ১২০০’ টাকায় তৈরি করা হচ্ছে।
লেপ-তোশকের পাশাপাশি অনেকেই কম্বলের দোকানগুলােতে ছুটছেন।
আগামীনিউজ/ হাসান